ব্রেক করার নিয়ম:
বাইক রাইডিং টার্মসে বর্তমানে ইঞ্জিন ব্রেক শব্দটা বহুল ব্যবহৃত একটা শব্দ। এই শব্দের ব্যাখ্যা শুধু থিউরি পড়ে রাখলেই হবে, প্রাকটিক্যালি জাবর কাটার দরকার নেই। কেননা ব্রেকের সহজ ও প্রসিদ্ধ নিয়মই হচ্ছে- থ্রোটল রিলিস করে পিছনের ব্রেক+ সামনের ব্রেক(যতটা ইমার্জেন্সি ততটা উভয় ব্রেকই স্মুথলি>হার্ড>হার্ডার প্রেস)
যেহেতু থ্রোটল রিলিসের সাথেই অটোমেটিক ইঞ্জিন ব্রেক অ্যাপ্লাই হয়ে যায় তাই “ইঞ্জিন ব্রেক” শব্দটা মনে করে বাড়তি প্যারা নেওয়ার কোনই দরকার কি।
উচ্চ গতিতে চলন্ত বাইকে সামনের ব্রেক আগে প্রেস করলে পিছনের চাকার হালকা ট্রাকশন লুজ হয়ে যায় এরপর পিচনের ব্রেক ধরলে চাকা স্কিড করে নিয়ন্ত্রণ হারানোর সম্ভাবনা থাকে। এজন্যই উচ্চ গতিতে পিছনের ব্রেক হালকা চেপে বাইকের ওজন ব্যালেন্স করে সামনের ব্রেকের সাথে পিছনের ব্রেক রিদমিক আসতে আসতে ঠেসে ধরতে হবে, আর ABS এর ক্ষেত্রে গায়ের জোরে টানবেন সমস্যা নাই।
ব্রেক ধরার সময় ক্লাস বলতে কিছু আছে কিনা এটা ভুলেই যাবেন, দেখবেন আসতে আসতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এভাবে দক্ষতা আরো বৃদ্ধি পেলে তখন অবাঞ্চিত ব্রেক ধরার বদ অভ্যাসও দুর হয়ে যাবে.
ইন্জিন ব্রেক নিয়ে যদি পেরা নেন তাহলে আর ইন্জিন ব্রেক শিখা হবেনা৷ অভ্যাসের বেপার হলো বড় বিষয়৷ ফাকা রাস্তায় অভ্যাস করুন.
ABS এর খারাপ দিক শুধু ভাঙ্গা রাস্তায়। সেই সংক্রান্ত পোস্টও শীঘ্র দিবো বিজ্ঞানসম্মতভাবেই।
ব্রেক সিস্টেম কত প্রকার?
যানবাহনে বিভিন্ন ধরনের ব্রেকিং সিস্টেম ব্যাবহার করা হয়। যেমনঃ
- ১। মেকানিক্যাল ব্রেকঃ
- 2। হাইড্রোলিক ব্রেকঃ
- ৩। এয়ার বা নিউমেটিক ব্রেক সিস্টেমঃ
ব্রেক সিস্টেমের মেকানিজমের উপর ভিত্তি করে ব্রেক আবার ২ ধরনের হয়:
- ১। ডিস্ক ব্রেকঃ
- ২। ড্রাম ব্রেকঃ
মারজেন্সি ব্রেকের ক্ষেত্রে..
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্লাস চেপে,অথবা না চেপে ধরার বিষয়ে কনফিউশান থাকে অনেকের! যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করবেন..
Ans:
ব্রেক ধরার সময় ক্লাস বলতে কিছু আছে কিনা এটা ভুলেই যাবেন, দেখবেন আসতে আসতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
বিষয়টা আপনাকে ডিটেইলসে বলিঃ
ইঞ্জিনের ঘুর্ণন শক্তি যা RPM বলি সেটা ক্লাস হয়ে গিয়ারের মাধ্যমে চেইন দ্বারা চাকাতে গতি শক্তি আনে। থ্রোটল রেভ করলে rpm বাড়ে আর গিয়ার অনুযায়ী চাকাও বেশি ঘুরতে থাকে। কিন্তু থ্রোটল কমিয়ে ফেললে ইঞ্জিনের rpm যে ভাবে কমে চাকার rpm কিন্তু কমে না ফলে চাকার rpm বেশি থাকার জন্য সেই শক্তি রিভার্স হয়ে ইঞ্জিনকে তখন থামাতে চায় এই থামানোর ঘটনাটাই ইঞ্জিন ব্রেক।
ইঞ্জিন ও গিয়ারের মধ্যে সুইচের কাজ করে ক্লাচ, ক্লাচ চাপলে সাথে সাথেই গিয়ার ও ইঞ্জিনের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আর থ্রোটল কমানোর ফলে ইঞ্জিন আরপিএম আইডল অবস্থায় চলে আসবে কিন্তু চাকার ঘুর্ণন শক্তি তখন বাধাগ্রস্ত না হয়ে তার শক্তি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায় এবং ব্রেক চাপলে গতির ফোর্সের কারণে স্কিড করে ফেলে। তাই নিরাপদ ব্রেকের ক্ষেত্রে ক্লাস না চাপাই উচিৎ।