হাইওয়ে মোটরসাইকেল চালানো প্রায়শই একটি দুরূহ কাজ হিসাবে দেখা হয়। আপনার যাত্রাটিকে আরও উপভোগযোগ্য এবং সুরক্ষিত করার জন্য এই ব্লগ পোস্টটি আপনাকে কিছু সহায়ক টিপস দেবে। প্রথমে গিয়ার সঠিকভাবে করুন। আপনার সুরক্ষার জন্য গায়ে কী পরবেন সে সম্পর্কে আমাদের আর্টকেলটি পড়ে দেখুন। এছাড়াও, রাস্তার বিধিগুলি জেনে নিন; এর মধ্যে ট্র্যাফিকের চিহ্নগুলি কীভাবে পড়তে হবে এবং সেগুলি মান্য করা ইত্যাদি। অবশেষে, আপনার চারপাশ সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকুন যাতে আপনি দুর্ঘটনা বা অপ্রত্যাশিত বাধাগুলি এড়াতে পারেন যা নিজের বা আপনার চারপাশের অন্যদের ক্ষতি করতে পারে। হাইওয়েতে বাইক রাইড করার সময়ে আপনাকে চোখ কান খোলা রেখে সতর্কভাবে বাইক চালাতে হবে নাহলে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকবে। হাইওয়েতা বাইক চালানোর জন্য যদি পূর্বেই কিছু টিপস জানা থাকে অর্থাৎ হাইওয়ে বাইক চালানোর জন্য মাথায় যদি কিছু টিপস ইন্সটল করা থাকে তাহলে দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা খুবই কম থাকে। হাইওয়েতে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য খুবই দরকারী কিছু টিপস নিয়ে আজকের এ পোস্ট টি। কয়েকটি হাইওয়ে মোটরসাইকেলের রাইডিং টিপস কী কী পড়ুন!
Motorcycle riding is an adventurous way to see the world. However, it can be dangerous if you’re not educated on how to do it safely. In this blog post, we’ll go over some of the tips that will make your motorcycle ride safer and more enjoyable for everyone involved in the process! In this article you’ll learn what to wear, how to ride, and even some tips for staying safe while riding your bike. I hope that after reading this article you feel confident enough to take the next step in becoming a better rider!
১। একটি ভাল মানের হেলমেট ব্যবহার করুনঃ একজন বাইক রাইডারের হেলমেট পরিধান ব্যবহার করে বাইক রাইড করা খুবই প্রয়োজন, কারন আপনি যতোই দক্ষ বাইক রাইডার হোন না কেন দূর্ঘটনা আসতে সময় লাগেনা। আপনি হয়তো দক্ষ বাইক রাইডার কিন্তু রোডের সব যানবাহন চালকেরা যে দক্ষ রাইডার এমনটা ভাবা কিন্তু বোকামি। একথা এ কারনেই টানছি কারন হলো কিছু অদক্ষ রাইডারেদের কারনেই বেশিরভাগ দুর্ঘটনা হতে দেখা যায়। ধরুন আপনি বাইক চালাচ্ছেন পিছনে আরেকটি বাইক আপনি একটু ব্রেক করলেন রেড সিগনাল দিয়ে কিন্তু সে তার বাইক কান্ট্রোল করতে ব্যর্থ হয়ে আপনার বাইকের সাথে মেরে দিলো এই মুহুর্থে আপনি কি স্থির থাকতে পারবেন? মোটেই নয়। এছাড়াও বিভিন্ন কারনে দুর্ঘটনা চলে আসতে পারে, দুর্ঘটনা ঘটার জন্য ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম কানুন নেই যেকোনো সময় যেকোনো মুহুর্তে চলে আসতে পারে বিনা সংকেতে। আমাদের মাথা যেহুতু প্রধান তাই এই অংশটাতে যেনো দুর্ঘটনা ঘটলে আঘাত কম লাগে তাই হেলমেট ব্যবহার করবেন। এছাড়াও হেলমেট ব্যবহার করলে অনেক উপকার রয়েছে, আপনি যদি যখন বাইক চালাবেন তখন দেখবেন খালি চোখে রাস্তা তেমন স্পষ্ট দেখা যায় না কারন বাতাসের তীব্র গতি আপনার চোখকে স্পর্শ করে তাই চোখ ভালো করে দেখতে ব্যর্থ এছাড়াও কানে ভালোভাবে শোনা যায়না বাতাসের শব্দের জন্য কিন্তু যদি হেলমেট পরে বাইক চালান তাহলে দেখা যাবে কানে বাতাসের শব্দ স্পর্শ করতে পারছেনা এরফলে কানে ভালো ফিলিংস পাবেন অন্যদিক হেলমেট ব্যবহার করার কারনে চোখেও স্পষ্ট দেখবেন কারন এখন আর আপনার চোখে বাতাসের তীব্র বেগ স্পর্শ করে দেখতে বাধা প্রদান করছেনা।
২। গতির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখুনঃ হাইওয়েতে বাইক চালানোর সময়ে গতির উপরে নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন আপনার বাইকের গতি যদি কন্ট্রোল করতে ব্যার্থ হোন তাহলে আপনার প্রানটা রক্ষা করতে ও ব্যার্থ হতে পারেন। আপনি রোডে এমনভাবে বাইক রাইড করুন যাতে আপনার সামনে আচমকা কোনো বস্তু পড়লেও নিজ বাইককে কন্ট্রোল করতে পারেন। আমার চেনা শোনা অনেক লোক রয়েছে যারা নিজ বাইকের কন্ট্রোল করতে ব্যর্থ হয়ে আজ পা হারিয়ে ঘরে বসে রয়েছে কেউ মাথায় আঘাত খেয়ে এখন দোকানে বসে কেনাবেচা করছে, আবার এমনও রয়েছে যারা এখন কবরে রয়েছে এক্সিডেন্ট করে। এরা সবাই ই কিন্তু নিজ বাইকের কন্ট্রোল করতে ব্যার্থ হয়ে এমতাবস্থায় পড়েছে। তাই আপনি যতোটুকু গতি নিলে কন্ট্রোল করতে পারবেন ততোটুকু গতি নিয়ে বাইক চালান, মনে রাখবেন সময়ের চেয়ে প্রানের মূল্যে অনেক বেশী।
৩। ব্রিজ বা সেতুর মাঝে সাবধান থাকুনঃ ব্রিজ বা সেতু গুলোর উচ্চতা একটু বেশী থাকায় এখানে বাতাসের বেগ স্বাভাবিক বাতাসের বেগের চেয়ে বেশী থাকে। তাই আপনি যখন ব্রিজ বা সেতু উপর দিয়ে বাইক চালাবেন তখন একটু অস্বাভাবিক লাগতে পারে একারনেই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে অসাবধানতার কারনে দূর্ঘটনায় না পড়েন।
৪। বাস ট্রাক ওভারটেকের ঝামেলাঃ অনেক পথ যাত্রীদের মুখে শুনেছি লম্বা বাস অথবা ট্রাক দ্রুত অতিক্রম করার জন্য বাইক রাইডাররা ব্যাকুল হয়ে পড়ে এরফলে অনেকসময় দূর্ঘটনায় পড়ে সাধারণ পেসেন্জারদের বিনামূল্যে প্রান দিতে হয়। অর্থাৎ বাইক চালকরা যখন বড় লম্বা কোনো বাস বা ট্রাক দেখতে পায় তখন তারা সেটাকে পেছনে ফেলার একটা প্রতিযোগিতা করে তখন দেখা যায় বিপদ হতে এরফলে বাইকের পেছনে যাত্রী থাকলে বাইক রাইডাররের সাথে যাত্রীদেরও প্রান চলে যায়। তাই আপনি যদি দেখেন কোনো বাইক চালক দ্রুতগতিতে অতিক্রম করছে বাইক বা ট্রাক তাহলে আপনি আপনার লিমিট মতো ধিরে ধিরে চালান তাড়াহুড়ার প্রয়োজন নেই।
৫। স্পিড ব্রেকার লক্ষ্যে করুনঃ অনেকেই স্পিড ব্রেকারের দিকে নজর দিতে ভুলে যায় রাস্তার মাঝে বসে। অথবা অনেকসময় রাস্তার পাশে বড় গাছপালা থাকার কারনে স্পিড ব্রেকারের দিকে ভালোভাবে লক্ষ্যে করা যায়না। তাই সতর্কভাবে স্পিড ব্রেকার ও রাস্তার ভাঙ্গা গর্ত দেখে বাইক চালাবেন এরফলে দুর্ঘটনা ঘটার প্রবণতা কম থাকবে।
৬। যানবাহনের গতিবিধি লক্ষ্য করুনঃ আপনার সামনে যা যানবাহন গুলো থাকবে তাদের গতি লক্ষ্য করে নিজ বাইক চালান, কারন আপনি যে রাস্তায় রয়েছেন সেই একই রাস্তায় অন্যান্য যানবাহন গুলোও কিন্তু রয়েছে। আপনি সামনের গাড়ির গতিবিধি দেখে বাইক চালাচ্ছেন আবার আপনার বাইকের গতিবিধি দেখে পেছনের যানবাহন গুলো চলছে এভাবেই কিন্তু, আর আপনি যদি ভালোভাবে সামনের গাড়ির দিকে লক্ষ্য না করে বাইক রাইড করেন তাহলে আপনার বাইকের পেছনে অন্য যানবাহন এসে ঠেকে দিবে এটা কিন্তু অস্বাভাবিক কিছু নয় এরফলে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
৭। রাস্তায় বৃষ্টি শুরু হলেঃ আপনি বাইক নিয়ে চলার পথে যদি দেখেন বৃষ্টি শুরু হয়েছে আর আশেপাশে কোনো আশ্রয় নেওয়ার মতো জায়গাও দেখতে পাচ্ছেননা তাহলে তাড়াহুড়া করবেননা ধীরে ধীরে নিজের গাড়ির কন্ট্রোল যেন ঠিক রাখতে পারেন সামনে কিছু এসে পড়লে এমনভাবে চালান।