বন্ধুরা, একটি নতুন বাইক কেনার পর করণীয় ও যত্ন নেওয়ার সহজ উপায়গুলো এখানে তুুুুলে ধরলাম:
1600 কিলো পর্যন্ত বাইক ব্রেকিং পিরিয়ড থাকে, তা মেনে চলা। এসময়ে যা যা করবেন:-
• স্পিড: ৪-৫ গিয়ারে ৪০-৫০ স্পিডে এভারেজ ৪০০০ rpm এ গাড়ি চালানো।
• তেল: Always অকটেন ব্যবহার করতে হবে।ব্রেকিং পিরিয়ডে তেল বেশি খাওয়ানা ভাল। ২-৩ কিলো বাকি থাকতেই তেল ভরে ফেলা উত্তম fi বাইকে। নতুন বাইকে ১৫০-২০০ কিলো টাইপের তখন লং রাইড না করা।
• ইঞ্জিন অয়েল/ মবিল: 300-400 km এর ভেতর ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ(মবিল) করা। Orginal motule 10 W 40
এরপর, ১০০০ km এর ভেতরে আপাদত মিনারাল ইঞ্জিন অয়েল( motule এর)।
২০০০ km এর পর সেমি সিনথেটিক ভরতে পারি যদি ইচ্ছা হয়।সিনথেটিক ৩০০০-৪০০০ km এর পরে ভরলে ভাল হবে।শো রুম এ ইঞ্জিন অয়েল যেটা দেয়(গ্রেড জেনে নিবেন) ঐটা ইউজের পর motul এর টা দেয়ার আগে ইঞ্জিন ফ্লাস দিয়ে নিয়েন, ভালো হবে।
• চাকা: চাকার প্রেসার সামনে ২৯ ও পেছনে ৩৩ (gixxer এ)। কিছু বাইকে ৩৫, পেছনে ৪২ চাকার হাওয়া(প্রেসার), জেল ভরা এগুলা চেক রাখবেন হাজার কিলোমিটার অন্তর। +ব্যাটারি চেক. কানেকশনগুলো চেক।
• গিয়ার: গাড়ির গতি অনুযায়ী গিয়ার চেঞ্জ করবেন আর হালকা ক্লাসে রেখেও গাড়ি চালাবেন না।নিজের সুবিধা মতো মিস্ত্রী থেকে ক্লাসটা ঠিক করে নিবেন।আশা করি লং লাস্টিং করবে ক্লাস।
হাফ ক্লাস করলে ক্লাসপ্লেটের জন্য ক্ষতি ভাই।
• গিয়ার হার্ড কমাবেন: গ্যারেজে নিয়া যান আর ম্যেকানিককে বলেন গিয়ার এ গ্রিজ দিতে। তারপর আসাকরি আর সমস্যা হবে না।।
• গাড়ি চালানো অভ্যাস কম থাকলে যা করবেন:
২-৩ দিন পর পর ৫-১০ মিনিট স্টার্ট অন রাখবেন। তাছাড়া, ব্যাটারির তার খুলে রাখতে পারেন।
• গাড়ি স্টার্ট: যেহুতু sf fi abs এ kick start system নাই, তাই engine self start switch এ কাজ না করলে/ কোনো সমস্যা হলে যেভাবে বাইক স্টার্ট করবেন:
১মত, ক্লাসের নিচে তার দুটা চাপ দিয়ে এরপর চেষ্টা করে দেখুন। এভাবে ঠিক না হলে-
বাইক স্ট্যান্ড করে, ৪তম গিয়ার দিয়ে, পিছনের চাকা হাত দিয়ে ঘুরিয়ে করা জায়। স্টান উঠিয়ে চার গেয়ারে ফেলে পিচনের চাকায় হাত একটা ঘুরানো দিলেই স্ট্রাট নিবে। চেস্টা করে দেখেন তবে কোনো ভাবেই যেনো চাকা মাটিতে না লাগে চাকা মাটিতে লাগলে বড় ধরনের এক্সিডেন্টের সম্ভাবনা আছে ৷ ইন্জিন গরম হলে পরে বন্দ করে আগের মতো স্ট্রাট দিন দেখবেন সহযেই সমাধান।
• পরিচর্যা: প্রতি ৪-৫ হাজার কিলো পর fi system পরিষ্কার করা।
• কোনো সমস্যা দেখা দিলে প্লাগ, এয়ার ফিল্টার, চেক দেন, Check spark plug এবং ওকটেনে ভেজাল আছে কিনা তা চেক দেন। চেইন স্পোকেট ক্লিয়ার করেন, স্পার্ক প্লাগ দেখেন কি অবস্থা,কার্বরেটর এর পিস্টন জ্যম পরলে পিস্টন কার্বরেটর ওয়াশ করে লাগায়
• মাঝে মাঝে মাস্টার সার্ভিস করিয়ে নিবেন রিস্ক মুক্ত থাকার জন্য। এটা সবচেয়ে ভাল হয়।
বাহ,উপকৃত হলাম