হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য অগ্রিম সতর্কীকরণ হিসেবে বাইক কন্ট্রোল করার নিয়মসহ বাইক চালানোর সব রকমের নিয়ম-পদ্ধতিগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
প্রথমত, আমার এক ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনা হাত থেকে ফিরে আসার গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। আজকেই খুব জরুরি দরকারে হাইওয়েতে ড্রাইভ করছিলাম, রাস্তা একদম ফাকা এবং নতুন ওয়াইড রোড, আমি প্রায় ১০০ ছুই ছুই স্পিডে ছিলাম। হটাৎ একটা ট্রাক বাম পাশের লেন থেকে বের হয়ে রাস্তায় উঠে যায়। আমি তখন প্রায় ১০০ মিটার মত দূরে!
আল্লাহর নামে দিলাম ইমারজেন্সি ব্রেক, বাইক ১০০ ছুই ছুই থেকে ফ্রাকশন অব সেকেন্ডে ৪০ এর নীচে।
ক্লাচ ধরে গিয়ার বদলে আরো গতি কমিয়ে নিলাম,ব্যাস প্রায় ২ সেকেন্ডের মধ্যে রিয়্যাক্ট করে দাঁড়িয়ে গেলাম। এবং এক্সিডেন্ট এড়াতে সমর্থ হলাম।
কথা হল কিভাবে হল এটা?
১৫ বছরের অভিজ্ঞতা এবং প্রাকটিস।
প্রায়ই ব্রেকিং নিয়ে অনেক প্রশ্ন দেখি, আজকে দূর্ঘটনা এড়াতে আমার মেনের চলা নিয়ম+অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। উল্লেখ্য আমি ২০০৪ সাল থেকে রাইড করছি।
বাইক স্বল্প দূরত্বের ভ্রমণের দুর্দান্ত উপায় সরবরাহ করে। এটি যাতায়াত, অনুশীলন, বিনোদন বা কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। যাইহোক, আপনি নিজের বাইকে চড়ে যাত্রা করার আগে চালানোর সময় সুরক্ষিত থাকার জন্য এই সুরক্ষা টিপস এবং প্রাথমিক নিয়মগুলি জেনে ও মেনে চালাবেন। আপনি কি জানেন, কিভাবে বাইক চালিয়ে তা দ্রুত থামানো যায়? এই ব্লগ পোস্টটি বাইক নিয়ন্ত্রণের কিছু বেসিক নিয়ম-কানুনের পাশাপাশি আপনার বাইকটি কীভাবে সঠিকভাবে চালাবেন সে সম্পর্কে জানান দেবে যাতে আপনি নিরাপদে সাইকেল চালানো উপভোগ করতে সক্ষম হন!
কন্ট্রোলসহ বাইক চালানোর নিম্নোক্ত নিয়মগুলো মেনে চলবেন:
১. কখনো এক ব্রেক ধরবেন না, সবসময় দুই ব্রেকই ধরবেন। ফ্রন্ট ৭০-৮০% এবং রেয়ার ৩০-৪০%।
২. কখনো ব্রেক করার সময় বাউলি মারবেন না, নাহলে শিওর ভূপাতিত।
৩. যতই দ্রুত থাকুন না কেন, কর্নারিং এর সময়ে নিজের লেন ছেড়ে যাবেন না। সব সময় নিজের লেনে থাকুন।
৪. কর্নারিং এর সময়ে অবশ্যই ১০০% সামনের ভিউ ক্লিয়ার দেখে কর্নারিং+ওভারটেক করবেন।
৫. সব সময় ইন্ডিকেটর এবং পাস থ্রু লাইট ব্যবহার করবেন।
৬. বাইকের ব্রেকিং যতই ভাল হোক, যতই ABS থাকুক, ব্যাসিক ফিজিক্সের সাথে খেলতে যাবেন না। মনে রাখবেন, ফিজিক্স কাউকে মাফ করেনা, ইনস্ট্যান্ট শাস্তি দেয়।
৭. সব সময় ভাল হেলমেট এবং রাইডিং গিয়ার পরে হাইওয়েতে রাইড করবেন।
৮. আপনার বাইকের ম্যানুয়াল অনুযায়ী বাইকের টায়ার প্রেশার রাখুন, মেকানিকের মাতব্বরি অনুযায়ী না। ব্রেকিং এর জন্য এইটা খুবি খুবি ভাইটাল।
৯. অযথা ক্লাচ ধরা পরিহার করে বাইক চালানোর অভ্যাস করুন, তাতে ব্রেকিং ইফিশিয়েন্সি ও বাড়বে, ভাল মাইলেজ ও পাবেন, বাইকের ইঞ্জিন ও দীর্ঘজীবী হবে।
১০. প্রতিযোগিতার মনোভাব পরিহার করুন, কেউ রেসিং এর জন্য আহবান জানালে ইশারা করুন আগে চলে যেতে, দেখবেন এম্নিই লজ্জা পেয়ে সে রেস করবেনা আর।
১১. কর্নারিং এর সময়ে কখনো ফ্রন্ট ব্রেক ধরবেন না, আই রিপিট ধরবেন না। নাহলে ভূপাতিত হবেন। রেয়ার ব্রেক ধরুন কর্নারিং এ এবং খুবি হালকা প্রগ্রেসিভ ম্যানারে ধরুন।
১২. মনে রাখবেন বাইকে যতই সেফটি ফিচার থাকুক, যতই ABS থাকুক, সব ব্রেকিং এর মূলকথা – চাকা+টায়ার এর ফ্রিকশন রোডের সাথে। আর সেই ব্যাসিক ফিজিক্স নিয়ে গুল মারতে যাবেন না।
বাইক নিয়ন্ত্রণের নিয়ম এবং বাইক চালানোর পদ্ধতিগুলি নিরাপত্তার মূল বিষয়। প্রতিটি যাত্রার আগে আপনার ব্রেকগুলি পরীক্ষা করুন; আপনার সামনের ব্রেক সম্পর্কে ভুলবেন না; প্রতিটি রাইডের আগে আপনার টায়ারে যথেষ্ট বায়ু রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন। বিভিন্ন ধরণের বাইক রয়েছে। তবে মোটামুটি সব বাইকের মধ্যেই সাধারণ কয়েকটি জিনিস রয়েছে। যথা: টায়ার, হ্যান্ডেলবার, ব্রেক, পেডাল, গিয়ার্স (বা চেইন) এবং স্যাডলস। বাইকগুলিতে বেল এবং রিফ্লেক্টরও থাকতে পারে।
রাইডিংয়ের পদ্ধতি: পায়ে হাটা কোন ব্যক্তির মত নয়, যানবাহনের মতো চড়ুন। সম্ভব হলে প্রশস্ত মোড় নিন; হ্যান্ড সিগন্যালগুলি সঠিকভাবে ব্যবহার করুন যাতে অন্যান্য চালকরা জানে যে আপনি কী করছেন।
সতর্কতাস্বরুপ নিজ কন্ট্রোলে বাইক চালাবেন। হ্যাপি বাইকিং, হ্যাপি রাইডিং