সি এন জি (cng) একটি বহুল ব্যবহৃত যান বা গাড়ি। যার কারণে এটির দাম অনেকটা কমে এসেছে বাংলাদেশের বাজারে। এই পোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে সি এন জি গাড়ির দাম কত তা জানতে পারবেন। ২০২৩ সালের সর্বশেষ মডেলের সি এন জি গুলোর দাম জানিয়ে দেওয়া হবে এই পোস্টের মাঝে।
বাংলাদেশের গ্রাম্য লোকাল স্টেশন থেকে শুরু করে বড় বড় বিভাগীয় শহরগুলোতেও cng নামক অটো পরিবহণটির বেশ চলাচল দেখা যায়। সাম্প্রতিককালে সি এন জি এর ব্যবহার একটু বেশিই দেখা যাচ্ছে, যা চোখে পড়ার মত। আমি ৯০ দশকের ছেলে, একটুখানি করে বেড়ে উঠার পর থেকেই বেশ কয়েকবার এই যানে চড়ে এটির প্রেমে পড়ে যাই।
All C N G Price in Bangladesh 2021 | সি এন জি গাড়ির দাম কত ২০২২-২৩
তো বন্ধুরা, তোমাদের সবাইকে আজকে আমি জানবো বাংলাদেশের বাজারে সি এন জি এর মূল্য সম্পর্কে। সম্প্রতি দেখা গেছে যে আমাদের দেশের সরকার সি এন জি মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে একটা নির্দিষ্ট দামে। একটা সি এন জি এর দাম কেমন হবে তা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন- দেশের অভ্যন্তরীণ দাম বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ট্যাক্স এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন হতে পারে। আর এই ট্যাক্স ও ডিলারদের লাভের উপর হিসাব করে এই দাম উত্থান পতন হয়।
- Bajaj RE (CNG) ৳ 424,000 টাকা
- Bajaj Qute (RE60) ৳ 499,000 tk
- Bajaj RE Maxima Cargo ৳ 3.70-4 Lacs tk
- Bajaj RE Optima Auto ৳ /= New
মডেলভেদে সি এন জি গাড়ির দাম বিভিন্ন হতে পারে। আর ২০২৩ সালের নতুন মডেলের cng গুলোর দাম যেমন বেশি, তেমনি ইঞ্জিনও অনেক আপডেট। অন্যদিকে ২০২২-১৩ সালের পুরোনো মডেলগুলোর দাম তুলনামূলক কম হয়।
BAJAJ New CNG: সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে CNG এর পরিবর্তে বাজাজ কোম্পানির নতুন কিউট নামের একটি গাড়ি নিয়ে আসলো যার মডেল BAJAJ RE 60. এই সি এন জি ৪-৫ জন এর মত যাত্রী বহন করতে সক্ষম, যার দাম আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা হতে পারে।
শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশের বাজারে সর্বপ্রথম সিলেটে এই গাড়ি উদ্বোধন করা হবে ট্যাক্সি হিসেবে। এই গাড়ির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ৪ চাকা বিশিষ্ট হওয়াতে রাস্তায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটা কম হবে বলে ধারণা করা হয়।
সিএনজি অটোরিক্সা তে প্যাসেঞ্জার উঠানোর সরকারি নিয়ম হচ্ছে পেছনে ৩জন যাত্রি বসতে পারবে। সামনে শুধু ড্রাইভার থাকবে, এ ছাড়া আর কোনো যাত্রী বসাতে পারবে না।
Cng গাড়ির দাম কত তা সঠিকভাবে জানতে হলে অনেকগুলো মার্কেট ঘুরে ঘুরে দেখতে হবে। যাছাই বাছাই না করে সি এন জি ক্রয় করতে গেলে ঠকার সম্ভাবনা আছে। এক্ষেত্রে, সবচেয়ে ভাল হয় অভিজ্ঞ কাউকে সাথে নিয়ে বাজারে যাওয়া। তাহলে সিএনজি অটোরিকশা দাম নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। সি এন জি বিক্রয় মূল্য ডিলারভেদে বিভিন্নরকম চাইতে পারে। যেখানে কম ঐখান থেকে কিনুন।
কিস্তিতে সি এন জি ক্রয় ও সি এন জি ব্যবসা
যাদের আর্থিক সমস্যা রয়েছে তারা স্বল্পমূল্যে কিস্তিতে সি এন জি ক্রয় করতে পারবেন সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা সহ দেশের বড় বড় বিভাগীয় শহরগুলো থেকে।
cng কে অনেকে তুফান বলে থাকেন। এর প্রধান কারণ হল এর গতি। প্রতিনিয়তই বাজারে নতুন নতুন গাড়ি আসলেও সিএনজির মত জায়গা কেউ ধরতে পারেনি। যারা আরামদায়ক এবং দ্রুত গতির গাড়ি পছন্দ করেন তাদের জন্য সিএনজি অন্যতম একটি যাত্রীবাহী গাড়ি।
এই গাড়িটি টেকসই এবং মজবুত হওয়াতে চালকদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। আগের মডেলের cng ও বর্তমান cng অনেকটা পার্থক্য থাকলেও এর দাম অনেকটাই কমেছে।
আগের মডেলের সিএনজিতে একটি হেডলাইট থাকলেও বর্তমান সিএনজিতে পাচ্ছেন দুটি হেডলাইট। নতুন সিএনজি তে থাকছে 255 সিসি power এর ইঞ্জিন যা আগের তুলনায় অনেকটাই শক্তিশালী। এছাড়াও বডির মানের দিক থেকে অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। এত পরিবর্তন থাকা সত্ত্বেও এর দাম না বেড়ে অনেকটাই কমেছে।
আগের মডেলের সিএনজির দাম ছিল চার লক্ষ্য থেকে পাচ লক্ষ 60 হাজার টাকা। কিন্তু নতুন মডেলের দাম মাত্র তিন লক্ষ 70 হাজার টাকা।
মাত্র ১ লক্ষ টাকার ব্যবধানে আপনি পাচ্ছেন অসাধারণ এবং একটা অসাধারণ মানের পাওয়ারফুল সিএনজি। যারা বিভিন্ন গাড়ি ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করতে চান অথবা নিজে নিজেই চালাতে চান তাদের জন্য এই সিএনজি হতে পারে এটি অন্যতম যানবাহন।
দেশের বিভিন্ন সেন্টারে আপনি মাত্র 60 হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট ৬ থেকে ৩৬ মাসের সহজ কিস্তিতে নিতে পারেন এই গাড়িটি। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন bajaj শোরুম থেকে আপনি বাজাজ সিএনজি মাত্র 1 লক্ষ 50 হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট নিতে পারবেন।
এছাড়াও গাড়িটির সঙ্গে পাচ্ছেন চারটি ফ্রি সার্ভিস। একটি সিএনজি গাড়ি থেকে আপনি প্রতিমাসে মিনিমাম 10 থেকে 15 হাজার টাকা আয় করতে পারেন। যারা কর্মহীন হয়েছেন তারা সিএনজি ভাড়া দিয়ে বেকারত্ব দূর করতে পারেন এবং কিস্তি পরিশোধ করতে পারেন।
CNG Update Price In Bangladesh 2021: সিএনজি কিনে ভাড়া দিন এবং প্রতি মাসে ১২০০০ টাকা শুরু ১৫০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
কেনার ঠিকানা:
Address: Sherpur Road Banani Bogura
Shop Name: কৃষি প্রগতি
phone: 01713429572
সি এন জি ব্যবসা বাংলাদেশ – ক্রয় করুন পুরাতন সি এন জি ও দাম কত তা জানুন
বাংলাদেশ যদি নিজ দেশে ভাল মানের সি এন জি অটো শিল্প গড়ে তুলতে পারত, তাহলে হয়ত দেশের বাজারে cng এর দাম অনেকটা কমে যেত। এতে একদিকে যেমন ক্রেতারা চাহিদামত সঠিক দাম পেত, তেমনি ব্যবসায়ীরাও জমজমাট ব্যবসা করতে পারত। সি এন জি এর দাম সাম্প্রতিককালে বেশ উঠানামা করতেছে। তবে ইতোমধ্যে এর দাম কিছুটা কমেছে। তাই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।
CNG গ্যাস কি? CNG প্রধান উপাদান – Cng কাকে বলে
Cng তে প্রধানত কোন গ্যাস থাকে জানেন কি? সেটা হচ্ছে Compressed Natural Gas.
সিএনজি এর পূর্ণরূপ হচ্ছে কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস। অর্থাৎ এই জালানি গ্যাস পেট্রোল, ডিজেল ইত্যাদি জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে আশার কথা হল সিএনজি গ্যাস টা আমাদের দেশে উৎপন্ন হয় বিধায় আমাদের জন্য এই গ্যাস নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। দেশের সব জায়গাতেই, এমন কি সব জেলাতেই সি এন জি এর জালানী গ্যাস পাওয়া যায়।
CNG এবং LPG গ্যাসের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তা নিয়ে আমরা আরেকদিন জানব। এছাড়াও জানব সি এন জি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস কে কত ধাপে জমা করা হয়।
সি এন জি হচ্ছে এক ধরনের গ্যাস। এরকম আরও অনেক ধরনের গ্যাস রয়েছে। বিভিন্ন গ্যাসের বিভিন্ন ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। যেমন: গৃহস্থলী বর্জ্য পচনের সময় গ্রীন হাউজ গ্যাস মিথেন নিঃসারিত হয়, যা বিশ্বের উষ্ণায়নের ওপর বেশ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। উন্নত বিশ্বের দেশসমূহ ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে ফেলা হয়। ফলে, গৃহস্থালী বর্জ্যের প্রচনশীল অংশ অতি সহজেই পচে বায়ুমণ্ডলে মিথেন নিঃসরণ করে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের সবচেয়ে ভালাে এবং সহজ উপায় হচ্ছে, গৃহস্থালী বর্জ্যের পচনশীল অংশ অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে মাটির নিচের পচিয়ে জৈব সার প্রস্তুত করা এবং একই সাথে মিথেন নিঃসরণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার।
জ্বালানি সাশ্রয়ের মূলমন্ত্র হচ্ছে জ্বালানি ব্যয়ে অধিক কর্মদক্ষতা বা উৎপাদনশীলতা অর্জন। আমাদের প্রচলিত যন্ত্রপাতির দক্ষতা (Efficiency) এখনও 40–60 ভাগের মধ্যে সীমিত। নিত্য ব্যবহার্য বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক দ্রব্যাদির দক্ষতা বাড়িয়ে জ্বালানির সাশ্রয় করা সম্ভব। জ্বালানি সাশ্রয়ের একটি বড় উদাহরণ হচ্ছে উন্নত চুলা। আমাদের দেশে গ্রামীণ এলাকায় জ্বালানির বড় অংশ আসে কাঠ বা কাঠ জাতীয় বস্তু থেকে। তাই, গ্রামীণ এলাকায় রান্নার কাজে যে পরিমাণ জ্বালানির ব্যবহৃত হয়, উন্নত চুলা ব্যবহারের মাধ্যমে তার 40 ভাগ সাশ্রয় করা সম্ভব। অধিকন্তু, উন্নত চুলার প্রচলন আমাদের বনজ সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
কম কার্বন নিঃসরণকারী প্রযুক্তির প্রচলন: সাধারণ কয়লা, গ্যাসের চেয়ে দ্বিগুণ, সৌরশক্তির চেয়ে 6 গুণ, বায়ুশক্তির চেয়ে 40 এবং পানি-বিদ্যুতের চেয়ে 200 গুণ গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণ করে। সুতরাং বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে নবায়নযােগ্য উৎস ব্যবহার করে CO2 এর উদগীরণ হ্রাসে ভূমিকা রাখা যায়। যানবাহন সেক্টর বিশ্বের 25% কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। তাই প্রত্যেক ড্রাইভারের উচিৎ তাদের সি এন জি অটো গাড়িতে মবিল ও প্রয়োজনীয় পদার্থ ব্যবহার করা।