Bike Price (With Reviews)

Honda Hornet Abs Price in Bangladesh 2022❤(আজকের দাম)

Today We Discuss honda hornet abs price in bangladesh 2022: Honda CB Hornet 160R ABS price and review in Bangladesh:-

Price: 2,55,000 BDT

গত বছরের ১৭ই ডিসেম্বর ( ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২০) বাইকটা কেনা হয়। এক বছরে ১১,১০৫ কিলোমিটার চালানো হয়েছে। এক বছরের অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি।

# মডেল = Honda Hornet, Special Edition. (CBS)

# কেনার কারণ = ১,৯০,০০০ টাকার আশেপাশে যেসব বাইক আছে সেগুলোর মধ্যে আমার এটাই বেশি পছন্দ ছিলো আগে থেকেই। অন্য বাইকের চেয়ে কোনো অংশে কম হোক বা না-হোক এটাই আমার পছন্দের ছিলো। এখন মনে হয় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

# কালার = ব্লু। রেড কালার বাইকটা অনেক উজ্জ্বল হলেও আমার প্রিয় কালার ব্লু। ব্লু কালার বুকিং দিয়ে এসেছিলাম কিন্তু যেদিন বাইক আসে শোরুমের লোক আমাকে কমলা কালারেরটা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছিলেন কারণ একজন ভিআইপি ব্লু কালারেরটা নিতে চাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আমি ব্লু কালারটাই নিয়েছিলাম।
এখন কমলা কালারেরটাও অনেক সুন্দর লাগে কিন্তু না-নেওয়ার জন্য আফসোস হয় না কিন্তু ব্লু কালারেরটা না-নিলে আফসোস হতো।

# গিয়ার ইন্ডিকেটর = বাইক কেনার আগে থেকেই আমার অভিযোগ ছিলো গিয়ার ইন্ডিকেটর নেই কেন এবং প্রথম ১/২ মাস বাইক চালানোর সময় সমস্যা হয়েছিল কিন্তু তারপর আর সমস্যা হয়নি। ২/৩ মাস চালানোর পর আমি বলে দিতে পারতাম বাইক কত গিয়ারে চলছে, তেল খারাপ দিয়েছে কি না, ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হবে কি না ইত্যাদি।

# AHO সিস্টেম (হেড লাইট) = বাইক কিনে আনার পর দেখি বাইক স্টার্ট করলে হেড লাইট অন হয়ে থাকে। শোরুমে গেলে তারা একটা সেন্সর ( ৬০০/৭০০ টাকা) লাগিয়ে দেয়। এরপর পাসিং লাইটের সুইচ ৩/৪ সেকেন্ড ধরে রাখলে হেডলাইট অন- অফ হয়। হেডলাইট অফ করলে পাসিং লাইট আর কাজ করে না। হেডলাইট অন করলে পাসিং লাইট কাজ করে। তবে এতে খুব সমস্যা হয় না কারণ বাস,ট্রাক চলে এমন রাস্তায় চলার সময় আমি সবসময় হেডলাইট অন করে রাখি সেটা রৌদ্রজ্বল দুপুর হোক আর রাত হোক।

# গিয়ার স্মুথনেস = গিয়ার-শিফটিং স্মুথনেস ছিলো না, দীর্ঘদিন ভুগতে হয়েছে। ক্লাস-ক্যাবল অ্যাডজাস্ট করলে কয়দিন পর আবার হার্ড হয়ে যেত কারণ ক্লাসটা হ্যান্ডেলের কাছাকাছি রাখতে চাইতাম কিন্তু এখন ক্লাস ক্যাবল ঠিক ভাবে অ্যাডজাস্ট করেছি এতে ক্লাসটা হ্যান্ডেল থেকে একটু দূরে থাকে, আর গিয়ার শিফটিং প্যাডেল একটু নিচে নামিয়ে নিয়েছি। এখন গিয়ার-শিফটিং খুবই স্মুথ, কোনো হার্ডনেস নেই।

# ইঞ্জিন অয়েল = প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত হোন্ডা মিনারেল ইঞ্জিন অয়েলটাই ব্যবহার করছি। অন্য কোনো ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে দেখতে হবে।

# তেল = অকটেন। প্রথম দিকে কয়েকদিন প্রয়োজনে পেট্রোল ব্যবহার করেছিলাম। একদিন পেট্রোল ব্যবহার করে ১০/১২ কিলোমিটার গিয়ে দাড়ানোর পর বাইক বন্ধ হয়ে আর স্টার্ট হচ্ছিল না। ২/৩ মিনিট কিক মেরে স্টার্ট করতে হয়। এরপর থেকে আর পেট্রোল ব্যবহার করার সুযোগ রাখি না, আগে থেকেই অকটেন নিয়ে রাখি।

# সিকিউরিটি লক = আরপিএম সম্পর্কে ধারণা ছিল না, আরপিএম কমানো ছিল তাই কোথাও গিয়ে দাড়ালেই বাইক বন্ধ হয়ে যেত আর কোনো কোনো দিন এমন হয়েছে যে কোথাও গিয়ে দাড়িয়েছি বাইক বন্ধ হয়ে গিয়েছে আর আমি চাবি বাইকে রেখেই চলে গিয়েছে। এতে খুব সহজে বাইক চুরি হতে পারতো। এর জন্য আমি Tasslock pro ( ৩০০০ টাকা) ইন্সটল করি ২০২১ সালের ১৫ মে, এটা ভেবে যে ব্যাটারি নষ্ট হলে কিনতে পারবো কিন্তু বাইক চুরি হলে এখন কিনতে পারবো না।

এখন পর্যন্ত ব্যাটারিগত কোনো সমস্যা হয়নি। উল্লেখ্য, প্রতিদিন বাইক চালানো হয়, কোনো দিন বাইরে না-গেলেও প্রতিদিন বাইক স্টার্ট করা হয়। যেহেতু শীতকালে বাইক নিয়েছিলাম তাই দিনের ১ম স্টার্ট কিক মেরে দিই এবং সেটা এখনো করি। সর্বোচ্চ ২ বার কিক দিলেই হয়। সেল্ফ দিয়ে স্টার্ট করতে কোনো সমস্যা হয়নি এখনো।

# ব্যাটারি = Tasslock Pro ব্যবহার করি এবং হেডলাইটের সাথে একটা লাইট ব্যবহার করি যা ব্রেক ধরার সময় আর ইন্ডিকেটর দেওয়ার সময় জ্বলে। এখন পর্যন্ত ব্যাটারি আগের মতই আছে কোনো সমস্যা হয়নি।

# পার্টস পরিবর্তন = ৮ হাজার কিলোমিটার পর এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করি, ১১ হাজার কিলোমিটার পর প্লাগ পরিবর্তন করি। এছাড়া আর কিছু পরিবর্তন করা হয়নি।

# দুর্ঘটনা = ৩ বার দুর্ঘটনায় পড়েছি। ৩০/৩৫ গতিতে চলার হঠাৎ ফ্রন্ট ব্রেক করার জন্য পড়ে গিয়েছিলাম, তবে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। দুর্ঘটনা ঘটার প্রধান কারণ ছিলো চাকার এয়ার প্রেসার বেশি ছিলো, সামনে ৪৫ – পেছনে ৫৫ এমন ছিলো! এখন সামনে ৩২, পেছনে ৩৬ আছে এবং খুব ভালো ব্রেকিং পাই।

# মাইলেজ = ৪৮-৫৫। মাইলেজ হিসাব করার জন্য ট্রিপ মিটার ব্যবহার করা।

# এত মাইলেজ পাওয়ার কারণ = এটা আমার প্রথম বাইক মানে আমি অভিজ্ঞ বাইকার না, আচমকা সামনে কিছু আসলে সামনের ব্রেক ধরে ফেলি, রিয়ার ব্রেক ধরা হয় না তখন, গ্রামের রাস্তায় বেশি চলা হয়, দ্রুত চালানোর প্রয়োজন হয় না – এসব কারণে ৩০ থেকে ৫০ গতির মধ্যে বাইক চালানো হয় বেশি ( কখনো মহাসড়কে ৭০/৭৫ গতিতে চালানো হয়)। ৭৫% সময় পিলিয়ন ছাড়া চালানো হয়, রাফ টান দেওয়া হয় না। এসব কারণে এত মাইলেজ পাওয়া খুব স্বাভাবিক।

# চেইনের শব্দ = একদম শুরুতে শব্দটা ভালো লাগত, মাঝে বেশ কিছু দিন চেইনের শব্দ কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল, এখন আবার চেইনের শব্দ বিরক্ত লাগে। আমার কাছে মনে হয় চেইন অপরিষ্কার থাকলে মানে ময়লা থাকলে শব্দ কম হয়, যেদিন পরিষ্কার করে লুব দেই সেদিন যেন শব্দ বেশি বোঝা যায়!!! , চেইন লুজ না থাকলে শব্দটা কম আসে। ( নিয়মিত লুব ব্যবহার করা হয়)

# রিয়ার ডিস্কের শব্দ = রিয়ার ব্রেক ধরলেই রিয়ার ডিস্কে ক্যাচক্যাচ শব্দ হয়। বাইক ওয়াশ করার ২/১ দিন শব্দ হয় না কিন্তু কয়দিন পর ময়লা পড়ে আবার ক্যাচক্যাচ শব্দ হয়। এখন প্রতিদিন বাইক পরিষ্কার করা হয় তাই ক্যাচক্যাচ শব্দটা কম হয়।

# ফ্রী সার্ভিস = ২ বার ফ্রী সার্ভিস করিয়েছি। ফী সার্ভিসে তারা তেমন কিছুই করে না তাই আর ফ্রী সার্ভিস করাতে যাইনি। পরিচিত ও বিশ্বস্ত সার্ভিস সেন্টারে নিয়মিত সবকিছু চেক-আপ করায়।

# খারাপ দিক =

১) হেডলাইটে কোনো আলো নেই। রাতে চলাফেরা করলে অবশ্যই ফগ লাইট ব্যবহার করতে হবে।

# ভালো দিক = অসাধারণ ব্রেকিং, অসাধারণ ব্যালেন্স, অসাধারণ কন্ট্রোল।

# যা ভালো লাগেনি = ছোট মিটার, মিটারটা আরও বড় হলে ভালো লাগত। চেইনের শব্দ। ডিস্কের শব্দ। বাইকের শব্দ আরও Bold বা হুংকার দেওয়ার মত হলে ভালো লাগত।

# যা ভালো লাগে = এক্স-শেইপ টেইল লাইট, রিয়ার চাকা এবং টোটাল লুক।

সবমিলিয়ে সন্তোষজনক পারফর্মেন্স পেয়েছি। মোটামুটি ৯ হাজার কিলোমিটার পর থেকে বিশেষ করে এখন বাইক চালিয়ে খুবই শান্তি লাগে -আগের থেকে ডাবল স্মুথ।

আমার প্রাধান্য কন্ট্রোল, ব্যালেন্স ও মাইলেজ। তাই আমি বেশ সন্তুষ্ট ।
ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *