বর্তমানে মোটরসাইকেল আরোহীদের অজ্ঞতার কারণে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের দরুন জরিমানা গুণতে হয়। ২০২২ সাল ও ২০২১ সালে এসেও এসব রুলস না মেনে চলা খুবই বিরাট দুঃখের কারণ হতে পারে, এমনকি বড় ধরণের এক্সিডেন্ট পর্যন্ত হতে পারে।
traffic rules in bangladesh || মােটরগাড়ি চালাবার আইন-কানুনঃ
মােটরগাড়ি চালনার প্রথম শর্ত হলাে- নির্দিষ্ট কিছু আইন-কানুন মেনে গাড়ি চালানাে। মনে রাখতে হবে মােটরগাড়ি একটি যান্ত্রিক বাহন। এই বাহনের নিজের কিছুই করার নেই। তাকে যেভাবে চালনা করা হবে- সে ঠিক সেইভাবে চলবে। চালকের সামান্য ভুলে বা আইন না মানার জন্য বড়াে ধরনের দূর্ঘটনা ঘটা কঠিন কিছু নয়। ক্ষেত্র বিশেষে কোন কোন সময় দুর্ঘটনার কারণে একাধিক প্রাণহানী পর্যন্ত ঘটতে পারে। এই কারণে গাড়ির চালকের যে কোন ধরনের মােটরগাড়ি চালানাের আগে কতকগুলাে সাধারণ ও বিশেষ আইন-কানুন সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। এগুলাে না জানা কিংবা না মানা, আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। ক্ষেত্রবিশেষে এই আইন অবমাননার জন্য নির্দিষ্ট অংকের ফাইন (জরিমানা) বা কখনও বা প্রয়ােজনে কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এইসব আইন-কানুন সম্পর্কে সম্যকভাবে জানা থাকলে তারপরই গাড়ি রাস্তায় নামানাে উচিত। এখানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইন আইন-কানুন নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে।
ট্রাফিক আইন জরিমানা মোটরসাইকেল ২০২১
- ১। সবার আগে মােটরগাড়ি রেজিস্ট্রি করতে হবে। গাড়ি রেজিস্ট্রি না করে কখনই চালানাে উচিত নয়। এই জন্যে রেজিস্ট্রি করার অফিসে যেতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা শহরে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজের অফিস রয়েছে। অফিসের চলতি নাম বি.আর.টি.এ. (বাংলাদেশ রােড ট্রান্সপাের্ট অথােরিটি)। সেখান থেকে প্রয়ােজনীয় স্লিপ গ্রহণ করে পরবর্তীতে এই সংক্রান্ত পােস্ট অফিসে রেজিস্ট্রেশন ফিস জমা দিতে হয়। পরবর্তীতে উক্ত অফিস থেকে উপযুক্ত কর্মকর্তা গাড়ি ভেরিফিকেশন করার পর সেটাকে বৈধ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পাবার উপযুক্ত বলে বিবেচনা করেন।
সবচেয়ে বড় কথা, মােটরগাড়ি রেজিস্ট্রেশন করানাে হলে সেটা আমাদের দেশের রাস্তায় চালানাের উপযােগি কিনা সেটাও পরীক্ষা করে থাকেন ডিউটিরত কর্মকর্তা।
ইতিপূর্বে উক্ত বি.আর.টি.এ. অফিস থেকে যে রেজিস্ট্রেশন করানাে হতাে তা প্রতি বছর রিনিউ করানাে প্রয়ােজন হতাে। কিন্তু বর্তমানে একবার রেজিস্ট্রেশন করানাে হলে পরবর্তীতে ১০ বছরের মধ্যে আর উক্ত কাজের জন্য বি.আর.টি.এ. অফিসে যাবার প্রয়ােজন হয় না। - ২। গাড়িটি রেজিস্ট্রি হয়ে যাবার পর উক্ত বিআরটিএ অফিস থেকে একটি নম্বর পাওয়া যাবে। যেমন ধরা যাক Dhaka-Kha-3459। ঐ নম্বরটি পাবার সঙ্গে সঙ্গে তা দুটি নম্বর প্লেটে লিখে দিতে হবে এবং গাড়ির সামনে ও পিছনে তা লাগিয়ে নিতে হবে।
এই নম্বর প্লেট এমনভাবে লাগাতে হবে যেন দূর থেকেও তা স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যায়। - ৩। গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করার সাথে সাথে যে চালক গাড়ি চালাবেন- তার জন্য প্রয়ােজন হবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানাে আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হলে উক্ত বি.আর.টি.এ. অফিসের লাইসেন্সিং
কর্তৃপক্ষের সাথে যােগাযোেগ করতে হবে। সেখানে প্রয়ােজনীয় ড্রাইভিং পরীক্ষা দানের পর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট চালককে লাইসেন্স পাবার উপযুক্ত বিবেচনা করলে- তবেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে। ইতিপূর্বে প্রতি বছর ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করার প্রয়ােজন হতাে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী একটি লাইসেন্স- এর মাধ্যমে একটানা ১০ বছর গাড়ি চালানাে যায়। - ৪। আঠারাে বছরের কমবয়স্ক কোনও লােক গাড়ি চালাতে পারবেন না। যদি ট্যাক্সি চালাতে হয়, তাহলে চালকের বয়স অন্ততঃ কুড়ি বছর বা তার বেশি হতেই হবে।
- ৫। পথে গাড়ি চালাতে গেলে যদি পথের নিয়ম ভঙ্গ করা হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের নিয়মের জন্যে প্রকারভেদে ১০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তাই সবসময় প্রতিটি নিয়ম মেনে গাড়ি চালানাে উচিত। রাস্তা পার হওয়া,
গাড়ির গতি, ট্রাফিক নির্দেশ, সংকেত প্রভৃতি সব নির্দেশ সর্বদা মেনে চলতে হবে।
এইসব নিয়ম ভঙ্গ করলে, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গাড়ির নম্বর নিয়ে কেস ফাইল করবে। - ৬। ড্রাইভারকে গাড়ি চালাবার সময় সর্বদা মানুষ, জন্তু, অন্য গাড়ি প্রভৃতির দিকে নজর রেখে চালাতে হবে। এতে ভুল-ত্রুটি হলে তা অমার্জনীর অপরাধ বলে গণ্য হয়।
একজন গাড়ি ও বাইক চালককে অন্ততপক্ষে উপরোক্ত কয়েকটি সাধারণ আইন মেনে চলে এরপর রাস্তায় নামা উচিৎ।
হেলমেট এর জরিমানা হল ৩০০০/-