Bike Tips and Tricks

নতুন মোটরসাইকেলের যত্ন ও চেইনের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি

a নতুন মোটরসাইকেলের যত্ন ও বাইক চেইন যত্ন

শখের কেনা একটা নতুন বাইকের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। তবে এর আগে কিছু কথা না বললেই নয়।
মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে বাইকের আগে একজন বাইকারের নিজের যত্ন নেওয়াটা বেশি জরুরি। এজন্য প্রথমত একটা সার্টিফাইড হেলমেট কিনে তারপর বাইক চালান। আর, বাইকের সিকিউরিটি বৃদ্ধির জন্য লকার ব্যবহার করুন। সবসময় পকেটে বাইকের কাগজ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেট ও অন্যান্য দরকারি জিনিস সাথে রাখুন।
তো মুল কথায় আসা যাক। বাইকের বাহ্যিক যত্নের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ যত্নের দিকে বেশি নজর দিন। নিচে তা আলাদাভাবে আলোচনা করা হল:

বাইকের বাহ্যিক যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি:

১) বাইককে রোদ-বৃষ্টি ও ধুলাবালির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য গুণগত মানের একটা বাইক কাভার কিনে ব্যবহার করুন। সর্বদা রোদ থেকে বাইককে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

২) বাইকের রঙের যত্ন নেওয়ার জন্য বাজারে একপ্রকার পলি পেপার বা লেমেলেটিং পাওয়া যায়, তা কিনে ব্যবহার করুন। অথবা সিরামিক কোটিং ব্যবহার করুন বা মোটরসাইকেল পলিশ করুন।

৩) নিয়মিত বাইক পরিষ্কার করুন ও পরিষ্কারের জন্য ভাল মানের কাপড় ব্যবহার করুন।

৪) বাইকের চকচকে ভাব ধরে রাখার জন্যে ভাল মানের স্প্রে পলিশ ও স্কাচ রিমুভার ব্যবহার করুন।

৪) তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলে সচেতনতার সাথে বাইক চালান ও বাইকের যত্ন নিন।

৫) ভাইকের ব্যাটারির যত্ন নিন ও অতিরিক্ত লাইটিং ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

মোটরসাইকেলের অভ্যন্তরীণ যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি:

১) অধিক মাইলেজ পাওয়ার জন্য সেরা ও গুণগত মানের ফুয়েল ব্যবহার করুন।

২) বাইকের গ্রেড এর ধরণ অনুযায়ী ইঞ্জিল অয়েল ব্যবহার নিশ্চিত করুন।

৩) বাইকের ক্লাচ সঠিক পরিমাণে রাখুন।

৪) ভাল মেকানিকস দ্বারা বাইকের সার্ভিসিং কাজগুলো করান।

৫) ইঞ্জিন হিট করে এমন মডিফাই করা থেকে বিরত থাকুন।

৬) নতুন বাইক হলে কারবারি করে তেলেন লাইন ভুলেও কমানো যাবে না।

৭) আপনার মোটরসাইকেল এর গ্রেড অনুযায়ী চেইন গ্রিজ ব্যবহার নিশ্চিত করুন।

৮) এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরিবর্তন করুন।

৯) বাইকের উপর চাপ কমাতে পিলিয়ন একজনের বেশি না চড়ানোর চেষ্টা করবেন।

১০) চাকার উপর চাপ কমাতে বাইকের ব্রেক ইন পিরিয়ডে ১ম ১০০০ কিলোতে ৪০০০-৪৫০০ আরপিএম রেখে মোটরসাইকেলটি চালানোর চেষ্টা করবেন। পরবর্তী ১০০০ কিলোমিটার আরপিএম ৫৫০০ এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন। ১ম ২বার ৫০০ কিলোমিটার পরপরই ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করুন। এরপর থেকে প্রতি ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনে ৮০০-১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো যাবে।

১১) নতুন মোটরসাইকেলে হলে জ্বালানী ভালো পাম্প থেকে নিবেন। এক্ষত্রে অকটেন ব্যবহার করুন।

১২) সকাল বেলা আপনার বাইকের চোক টেনে কিক দিয়ে স্টার্ট দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ইঞ্জিন একটু গরম হলে যাত্রা আরম্ভ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *